বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, জুলাই সনদ সাংবিধানিকভাবে পাকাপোক্ত করতে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। জাতীয় সংসদের আগে এ গণভোট আয়োজন করা সম্ভব বলে আমরা মনে করি।
এজন্য নভেম্বর ডিসেম্বরের দিকেই গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে বলে জানায় জামায়াত।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তির জন্য জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে গণভোট হতে পারে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
গণভোট কবে হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, জনগণ গণভোটে অভ্যস্ত না। আমরা মনে করি, এটি যাতে জাতীয় নির্বাচনকে কোনো ধরনের সমস্যায় না ফেলে, নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরেই এটা করা যায়। তফসিলের আগেও করতে পারেন। গণভোট হয়ে গেলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে কোনো ধরনের বাধা নেই।
জনগণকে একটা জটিল অবস্থায় না ফেলে বা মহাপরীক্ষায় না ফেলে সহজভাবে এগিয়ে গেলে আমরাও বাঁচি, জাতিও বাঁচে। তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি রচনার জন্য যদি গণভোটে যায়, তাহলে এটা হবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য। এটা কখনো চ্যালেঞ্জ করতে গেল তা টিকবে না।
পার্লামেন্টও এটাকে প্রত্যাখ্যান করতে পারবে না।
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের কোনো দূরত্ব নেই জানিয়ে এ জামায়াত নেতা বলেন, গণভোটের রেজাল্ট যদি আমাদের বিপক্ষেও যায়, আমরা এখানে ছাড় দেব।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, সংস্কারের বিষয়ে আমরা সবসময় সোচ্চার ছিলাম। সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তির জন্য গণভোটের পক্ষে সবাই মত দিয়েছেন।